বাউফলের পটভূমিঃ
১৭৯০খ্রিঃ লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারত শাসন সংস্কার আইনে বাকেরগঞ্জ জেলাকে ১০টি থানায় বিভক্ত করেন। এর মধ্যে বাউফল থানা অন্যতম। তাছাড়া ১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কোলকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। এ মহকুমার অধীনে ৪টি থানার মধ্যে বাউফল অন্তর্ভূক্ত ছিল। পূর্বে এ এলাকায় ছিল অনেক ধরণের বৃক্ষাদি, এই বৃক্ষাদির মধ্যে এক ধরণের গাছ জনসাধারণের কাছে বাউ গাছ নামে অত্যন্ত সুপরিচিত ছিল এবং ঐ গাছের নাম অনুসারে অত্র এলাকার নাম হয় বাউফল। ১৮৭৪ সালের আগস্ট মাসে যখন এখানে পুলিশ স্টেশন করা হয় তখন উক্ত নাম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। আগা বাকের খাঁর শাসন আমলে দক্ষিণ বাংলার ইতিহাস অনুযায়ী অত্র এলাকার নাম বাউফল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
²থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠার তারিখ ঃ আগস্ট, ১৮৭৪খ্রিস্টাব্দ।
²উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার তারিখ ঃ ০২ জুলাই, ১৯৮৩খ্রিস্টাব্দ।
²বাউফলের ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ুঃ
ভূ-বিজ্ঞানীদের চোখে বাংলাদেশ বিস্তৃত পলিমাটিতে ঢাকা এক ভূ-খন্ড। পলি, দো-অাঁশ ও এটেল মাটি সমৃদ্ধ বাউফল উপজেলা। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এ এলাকার অন্যতম ঋতু বৈচিত্র। নাতিশীতোষ্ণ বাউফল অঞ্চলে শীত গ্রীষ্মের আমেজে ভরপুর।
²বাউফলের নদী ও প্রকৃতিঃ
বাউফল ভূ-খন্ডটি প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ছিল ভরপুর। সুনিবিড় অরণ্যানী, উদ্ভিদ-প্রাণী এবং নদীনালা, জলাশয় পূর্ণ এ অঞ্চলটি এর অংগকে সাজিয়ে তুলছিল সমৃদ্ধ সজ্জায়। বাউফলের পূর্বে বিশাল তেতুঁলিয়া নদী, পশ্চিমে খরস্রোত লোহালিয়া নদী ও উত্তর-পশ্চিমে কারখানা নদী বয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার মধ্যখানে ছোট-বড় অনেক নদী ও খাল রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস