কালাইয়া ইউনিয়নে
বাস যোগে -->ঢাকা হতে বরিশাল হয়ে লেবুখালী ফেরি পার হয়ে দুমকি উপজেলার উপর দিয়ে জোয়ার গরবদি ও বগা ফেরি পার হলেই ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাউফল সদর উপজেলা কার্যালয় অবস্থিত। উপজেলা কার্যালয় হতে পূর্ব দিকে ৪ কি মি দূরে কালাইয়া বাজার। বাজার থেকে ১কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে এই কম্লা রানী দিঘি অবস্থিত।
লঞ্চ যোগে -->ঢাকা হতে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে সরাসরি কালাইয়া বন্দর । বন্দর থেকে কালাইয়া বাজারে এসে ,বাজার থেকে ১ কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে এই কম্লা রানী দিঘি অবস্থিত।
0
আনেক দিন আগের কথা আজ থেকে প্রায় শতবছর হবে । কমলা রানী একদিন ঘুমের ঘরে স্বাপ্নে দেখেছে কমলা তমি একটি দিঘী কাটো । দিগী কাটবা যে তুমি হাটতে হাটতে তুমি যখন দেখবা যে তোমার পায় রক্ত দেখা যায় ঐ পযর্ন্ত গিয়ে তুমি সিমানা করবা । তার পর কমলার স্বাপ্ন ভাঙ্গিয়া গেল । তিনি ঘটনা তার স্বামী কে বলল । তার পর স্বামী বলল আচ্ছা ঠিক আছে ছল দিঘী কাটাও । তার দুজনে পশ্চিম পাড় থেকে হাটা শুরু করল হাটতে হাটতে কমলা দরুন ১৩ কানি জমি পার করল । তার পর তার স্বামী দেখল হাটতে হাটতে সব কিছু আরন্ন করে ফেলবে ।তার স্বামী তার চাদুরে মদ্যে একটি কবুতর লুকিয়ে নিয়ে গিয়েছিল । সেই কবুতরটির গিলা ছিরে তার রক্ত কমলার পায় দিল এবং কমলা রক্ত দেখে থেমে গেল এবং ঐ যায়গায় সিমানা করল । তার পূব দিকে এসে দক্ষিন পূব কনায় সিমানা করা পর তার উত্তরে ফিরল ।উত্তরে ফিরে সিমানা করল । তারপর
উত্তর পশ্চিম কনায় সিমানা করল । এর পর তিনি বাড়ী ফিরে গেল । সিমানা করার পর তিনি এক রাত্রিরে দিঘী কাটল । কয়েক মাস হয়ে গেল দিঘীতে কোন পানি নাই
তখন লোকে বলে
সকল মানুষে কাটল দিঘী
লোকে পানী খায়
পাপ্পু রাজায় কাটল দিঘী
চড়াই আদার খায় ।
এ কথা শুনে কমলা খুবই চিন্তিত করে । কমলা একদিন ঘুমের ঘরে দেখতে পেল য়ে, কমলা তুমি ধান দুফলা দিয়ে বড় তাহলে তোমার দিঘীতে পানি আসবে । তারপর তিনি তার বোন ,ভাভী ,দাসি বান্দি দের বলল আমি ঘুমের ঘরে এই স্বাপ্ন দেখেছি । এর পর তারা সবাই ধান দুফর নিয়ে দিগী বড়তে গেল এবং বড়তে বড়তে বলল
পাতা জলে নামিয়া কমলায় পাতা ছেনান করে
আঠু জলে নামিয়া কমলায় আঠু ছেনান করে
কমর জলে নামিয়া কমলায় কমর ছেনান করে
বুক জলে নামিয়া কমলায় বুক ছেনান করে
গলা জলে নামিয়া কমলায় গলা ছেনান করে
কেশ জলে নামিয়া কমলায় কেশ ছেনান করে ।
জলে ডুব দেয়ার পর দিঘীতে বাতাস শুরু হল । সবাই উঠে গেল কিন্তু কমলা উঠতে পারল না । তখন সবাই কমলাকে বলল কিরে কমলা উঠে আয় কিন্তু কমলা বলল আমি উঠে আসতে পারবনা আমার পায় কি জানি বাধা । সবাই কমলার কাছে গিয়ে দেখল কমলার পায়ে সিকল বাধা ।কমলার এখন দিঘীতে দিন কাটতে শুরু করল ।তার একটি ছেলে ছিল । ছেলেটি তার মায়ের কাছে এসে দুধ খেত । এভাবে কয়েক মাস কেটে গেল । তার পর তার স্বামী একদিন বলল আমি কমলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব । কোণ একদিন কমলার ছেলেকে তার বাবা কমলার কাছে দুধ খেতে পাঠাল । আর কমলার স্বামী গাছের আড়োলে লুকিয়ে ছিল । যখন ছেলেটা কমলার্ কাছে দুধ খেতে গেল তখন কমলার স্বামী কমলার কাছে গেল আর বলল তোমাকে আমি নিয়ে যেতে এসেছি । কমলা তার স্বামী কে বলল তুমি আমার কাছে এসোনা আমাকে তুমি নিয়ে যেতে পারবেনা ।এ কথা বলার পর কমলার স্বামী কমলার কাছে গিয়ে কমলাকে ধরল ।ধরার সাথে সাথে কমলা পানিতে নেমে যেতে শুরু করল । কমলাকে যখন ধরে রাখতে পারছিল না তখন কমলার স্বামী কমলার চুল দরে টান দিল ।চুল দরে রাখতে না পারায় কমলাকে ছেড়ে দিল তার স্বামী । আর কমলা উত্তর পশ্চিম কোনা ধরে উত্তর পাড় এর মাঝ খান থেকে ছিড়ে চলে গেল ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস